ফজলে এলাহী মাকাম ঃ
৩৩৩ এ কল করলেই খাবার পৌঁছে আপনার বাড়ি ,জামালপুরের জেলা প্রশাসক এনামুল হক এর এমন মানবিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জামালপুর জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় লক ডাউনে শহরের পৌর এলাকার ভিতরে দিনমজুর,রিকসা ওয়ালা,ভ্যান চালক,নাপিত,মূদ্রন শিল্পি সহ হতদরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত যে কেউ জামালপুর জেলা প্রশাসকের কেন্ট্রোল রুম ( ফোন ০৯৮১-৬৪৩৭৩) মোবাইল=০১৯৩৩৯৬২৯২০ এই নাম্বারে খাদ্যের জন্য ফোন করলেই তাৎক্ষনিক ভাবে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটগণ খাবার নিয়ে পৌঁছে যাবে আপনার বাড়িতে। সেই সাথে যারা লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা কাউকে কিছু বলতে পারছে না তারাও রাতের আধারে ত্রান বা খাদ্য সহায়তা পাবে অনায়েশেই।
জেলা প্রশাসক এর এই মাববিক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মানবাধিরকার কর্মী জাহাঙ্গির সেলিম বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় হোম কোয়ারেন্টইনের থেকে সরাসরি জেলা প্রশাসকের দেওয়া নাম্বারে ত্রান সহায়তা পৌছে দেওয়ার এই কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই । সেই সাথে জেলার হতদরিদ্র সহ মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর খাদ্যের চাহিদা অনেকটা লাঘব হবে বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ জলিল বলেন,জেলা প্রশাসকের এই কার্যক্রমে যারা হাত পেতে চাইতের পারে না, তাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া মনে করেন তিনি।
মোবাইলে ত্রান পাওয়া বাগের হাটা এলাকার সালেহা বেগম বলেন, ডিসি স্যারের দেওয়া মোবাইলে ফোন করে ত্রান পাইছি,লাইনে দাঁড়াইতে হয় নাই এই দূর্যোগের সময় পুলাপাইন( ছেলে মেয়ে) নিয়া ডাইল -ভাত খাবার পাইছি,আল্লাহ যেন তার ভালা করে। শুধু সালেহা নয় ,বোষপাড়ায় বানু, বসাকপাড়ার মালতি দাস,রেনু বেগম সহ আরো অনেকে এই ত্রান সহায়তা পেয়ে অনেকটাই খুশি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও এনডিসি আবু আব্দুল্লাহ খাঁন বলেন, ডিসি স্যারের সঠিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক স্যার সহ আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্টেটগন দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি । খাবার আমরা পৌঁছে দেব, তাও সকলেই এই করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন এর বাড়িতে থাকার নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে জামালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন,জেলা শহরের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রান বিতরনের তালিকা থেকে যদি কেউ বাদ পড়ে, তাহলে জেলা প্রশাসক স্যারের দেওয়া হটলাইনে যোগাযোগ করলে. রাতেই তার বাড়িতে গিয়ে খাবার পৌছে দেওয়া হবে। মোট কথা কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে সেদিকেই জেলা প্রশাসক স্যারের নেতৃত্বে আমরা অবিরাম কাজ করে যাচ্ছি।
হট লাইনে খাবার পৌছে দেওয়া সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, বর্তমান সরকারের ত্রানের কোন ঘাড়তি নেই,কেউ ত্রান না পেলে আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রান পৌছে দিব। তবে এই দূর্যোগের সময় ত্রান নিয়ে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।আর এ পর্যন্ত জেলায় ২লাখ ৪৫ হাজার ৫৮২ টি পরিবারকে ত্রান সহায়তা দেওয়া হয়েছে। যে কেউ এই ত্রান মোবাইলে ফোন করার মাধ্যমে পেতে পারে । এ নিয়ে মনে কোন সংশয় থাকার সুযোগ নেই। তবে এই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে সরকারী নিয়ম মেনে ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানান তিনি।
সব মিলিয়ে হতদ্ররিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত যে কারো ত্রানের প্রয়োজনে হটলাইনে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রকৃত ত্রান প্রত্যাশীদের কাছে ত্রান পৌঁছে দিবে জেলা প্রশাসন এমনটি প্রত্যাশা সবার।