• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন |
  • English Version

জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ইসলামপুরে পাথর্শী যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাধেঁ অবৈধ বালু ব্যাবসা!

ওসমান হারুনী: ইসলামপুর (জামালপুর) থেকে :

জামালপুরের ইসলামপুরে পাথর্শী যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাধেঁর অবৈধ বালু ব্যাবসা চলছে! অবৈধ বালু ব্যাবসার ফলে দেবে ও সরে যাচ্ছে বাঁেধর ব্লক। বাধেঁর উপর অবৈধ বালু ব্যাবসার প্রশাসন স্থায়ী কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোব্ধ এলাকাবাসী। ক্ষোব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ,বালু ব্যাবসায়ীরা ইউএনও,ভুমি অফিস ও সরকারি অফিসকে ম্যানেজ করেই তারা বালু ব্যাবসা করছে।

বুধবার (০৮ মার্চ) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় কয়েকটি বালু দস্যু সিন্ডিকেট যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে খনিজ সম্পদ বালু নৌকা ও ড্রেজারে মাধ্যমে তুলে জামালপুরের ইসলামপুরের পাথর্শী ইউনিয়নের যমুনার তীর সংরক্ষণ বাধেঁর উপর রাখছে। খোজঁ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী শাপলার নেতৃতে¦ যমুনার বামতীরের পাথর্শী মোরাদাবাদ ঘাট খানপাড়া নতুন মসজিদ সংলঘœ বাধেঁর উপর অবৈধ বালু মজুদ করছে। পাশেই সুলতান কাজীর বাড়ির সামনে বাধেঁর উপর বালু তুলছে  খুকার ছেলে লিখন। এছাড়াও একই এলাকা খান পাড়া ঘাটের পাশে মিনুর বাড়ি সংলঘœ বাধেঁর উপর বালু তুলে বিক্রি করছে লিখন। এছাড়াও  উত্তর শশারিয়া বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ও ৪০নং শশারিয়া বাড়ি সরকারি প্রাথমি বিদ্যালয় বাউন্ডারী দেওয়ালে সাথে অবৈধ বালু তুলে দেদারছে বিক্রি করছে সাইফুল, নয়ন,ধন মিয়া,মান্না ও ফকির আলী সহ একটি বালু দস্যু সিন্ডিকেট। একই ভাবে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাধেঁর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বালু ব্যাবসা চলছে বিষয়টি যেন আইনানুযায়ী দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে দেখা যায়,বাধেঁর উপর বালু তুলার ফলে বালুর পানি বেয়ে পড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যায়ে যমুনা বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাধেঁর ব্লক সরে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সরকারি নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটেরা অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বালু তথা খনিজ সম্পদ লুটপাট চলছে ইসলামপুরে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হুমকীর মুখে পড়েছে যমুনার বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধ। বাধঁ,রাস্তা,ফসলি জমি ও বসতি এলাকা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে অবৈধ বালু উত্তোলন করে জমা করে দেদারছে বিক্রি করছে বালু দস্যুরা। ফলে পরিবেশও হুমকির মুখে পড়েছে ওইসব এলাকা।স্থানীয়দের অভিযোগ,নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে যমুনা তীরবর্তী অঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে রক্ষাকল্পে সরকার সাড়ে চারশত কোটি টাকা ব্যায়ে যমুনা বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে বালু দস্যুরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবাধে বিভিন্ন উপায়ে দীর্ঘদিন ধরে বালি উত্তোলন করছে। এ ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ,উপজেলা প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ ও জরিমানা করলেও পরক্ষণেই রহস্য জনক কারণে আবারও বালি উত্তোলন শুরু হয়ে যায়। ফলে স্থানীয় সচেতন মহল বলছে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করেও বালি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। ফলে এব্যাপারে এলাকাবাসীর সনচেতন মহল জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।