• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ অপরাহ্ন |
  • English Version

নালিতাবাড়ীতে প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারী ঘর পেলেন 

এম সুরুজ্জামান শেরপুর প্রতিনিধি :
‘জমি আছে ঘর নেই’ এই প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সরকারী পাকা ঘর বরাদ্দ পেলেন মানসিক প্রতিবন্ধি চৌদ্দ বছর বয়সী কিশোরী মুসলিমার মা মনোয়ারা বেগম।
শনিবার (৬ জুন) নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়ারপাড় গ্রামের অসহায় এ পরিবারটির ঘর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান। এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চার ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট চৌদ্দ বছর বয়সী মানসিক প্রতিবন্ধি কিশোরী মুসলিমা। দিনমজুর বাবা কাশেম আলী মারা যান প্রায় এগারো বছর আগে। মা মনোয়ারা বেগম কোমড়ে ডোলা নিয়ে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে ভোজ্যতেল, বুট-বাদাম, সুঁই-সুতা এসব বিক্রি করে দিন কাটান। দিনমজুর তিন ভাই বিয়ে করে সংসারী হয়েছে। ভিটেমাটি বলতে ছিল পাঁচ শতক জমি আর ছোট একটি টিনের চালা। এ চালা ঘরই ছিল মুসলিমার জগত। দিনরাত প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই দুই হাতে শিকল ও আর দুই পায়ে রশি লাগিয়ে মেঝেতে ফেলে রাখা হয় তাকে। মা সারাদিন আশপাশের গ্রাম ঘুরে রোজগার শেষে বাড়ি ফিরেন। ততক্ষণে মুসলিমা খড় বিছানো বিছানায় প্রকৃতির কাজ সেড়ে ঘরময় দূর্গন্ধ করে তোলে। শিকল আর রশি খোলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করিয়ে আবারও তাকে শিকলবন্দী করা হয়। এভাবেই চলছিল মুসলিমার শিকলবন্দী জীবন।
এ বছরের জানুয়ারিতে স্থানীয় ও জাতীয় একাধিক গণমাধ্যমে মুসলিমার পরিবারের এমন অসহায়ত্বের কথা উঠে এলে পরিবারটির পাশে দাড়ায় নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। ওই সময় পরিবারটির আয়-রোজগারের জন্য প্রদান করা হয় ব্যাটারিচালিত চার্জার ভ্যান গাড়ী। দেওয়া হয় নগদ ৫ হাজার টাকা। একই সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান সরকারী ঘর বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দেন তখন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি। এতে ওই পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার ব্যবস্থা হলো বলে মনোয়ারা বেগম জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।