• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন |
  • English Version

বকশীগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সরকারি কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা, চাপাতি উদ্ধার!

জিএম সাফিনুর ইসলাম মেজর,বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সরকারি এক কর্মকর্তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের বিনোদরচর গ্রামের রেজাউল হকের বাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে অভিযোগ করেন তার ছেলে বাপ্পী ও রাব্বী। এ নিয়ে শনিবার বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
রেজাউল হকের বাড়িতে একই গ্রামের আয়কর বিভাগের কর্মরত মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে এমন অভিযোগ করা হয়।
বাপ্পীর অভিযোগ মিজানের নেতৃত্বে লোকজন তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে । কিন্তু সরেজমিনে দেখা তার উল্টো চিত্র। রেজাউল হকের বাড়িতে কোথাও কোন হামলার চিহ্ন পাওয়া যায় নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রেজাউল হকের ছেলে বাপ্পী স্থানীয় একটি মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এ বিষয়টি নিয়ে গ্রামের লোকজন মিজানুর রহমান মিজানকে জানালে তিনি শুক্রবার রাতে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে রেজাউল হকের বাড়িতে বাপ্পীর মাকে বিষয়টি জানান। আর এতেই ক্ষুব্দ হয় রাব্বী ও বাপ্পী।
মিজানুর রহমানের ভাই মমতাজুর রহমান মমতাজ জানান, বাপ্পীরা ক্ষুব্দ হয়ে তাদের লোকজন নিয়ে আমার ভাইয়ের বাড়িতে হামলা করেন। তারা চাপাতি দিয়ে মিজানকে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং বাড়ির সামনে চাপাতি প্রদর্শন করেন।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা চাপাতি রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যান তারা। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজানকে ফাঁসাতে তার নামে অপপ্রচার করতে থাকেন।
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ শনিবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরাও ঘটনাস্থলে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলেছেন । তবে রেজাউল হকের বাড়ির কোথাও কোন হামলার চিহ্ন পাওয়া যায় নি।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম স¤্রাট জানান, হামলার অভিযোগটির গভীর তদন্ত চলছে। পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।