• রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন |
  • English Version

লাদেনের অত্যাচার ও নির্যাতনে জেসমিনের আত্মহত্যা!!

লাদেনের অত্যাচার ও নির্যাতনে জেসমিনের আত্মহত্যা!!
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি :
লাদেনের অত্যাচার ও নির্যাতন একই সাথে শ্বশুর শ্বাশুরীর অমানবিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা মতো পথ বেছে নিলেন গৃহবধূ জেসমিন !!
শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে দশটায় জেসমিন বেগম (২৩) গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২ মাস আগে ভালোবেসে বিয়ে করে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার জেসমিন বেগম শেরপুরের নকলা উপজেলায় চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের বন্দটেকি গ্রামের জানে আলমের ছেলে আশিকুর রহমান লাদেনকে।

বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন । বিয়ের পরপরই স্বামী শ্বাশুরীর মন যোগাতে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন নিহত জেসমিন বেগম। কয়েক দিন আগে আবারও ৩০ হাজার টাকা নেয় স্বামী আশিকুর রহমান লাদেন ।
যে সুখের সন্ধানের আশায় প্রায় শত কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসে ছিল স্বামীর ঘরে এখানেও পেল অশান্তি ও কষ্ট। দিন দিন স্বামী শ্বাশুরীর অমানবিক অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল ৯৯৯ ফোন দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি এই গৃহবধূ জেসমিন বেগমের।

চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা আবু সাইম জানান গত ২ অক্টোবর সকালে ৯৯৯ ফোন করে নিহত জেসমিন বেগম। এরপর এস আই মুকুল সরকার ঐ মেয়ের (জেসমিন) শ্বশুর শ্বাশুরীর কে বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরে রেখে আসেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ময়না বেগম জানান, পুলিশ চলে যাওয়ার পর থেকে অত্যাচারের মাত্রা বাইরা যায় ও গত ২ দিন কোন খাবার খেতে দেয়নি । সেই দুঃখে আইজকা ফাঁস টানাইছে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রিয়াদ মাহমুদ জানান, ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার ঘটনায় নিহত জেসমিন বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সাথে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।