• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০০ পূর্বাহ্ন |
  • English Version

সরিষাবাড়ীতে বন্যায় ২ হাজার হেক্টর ফসল পানির নিচে

মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী ( জামালপুর) থেকে|:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাড়ার সাথে প্রতিদিন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও পৌর এলাকায় বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দেড় শতাধিক গবাদি পশুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ২ হাজার হেক্টর বীজতলা ফসলি জমি। প্লাবিত ইউনিয়ন গুলো হলো সাতপোয়া, কামরাবাদ, পোগলদিঘা, ভাটারা, ডোয়াইল, আওনা, পিংনা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম। বৃহস্পতিবার বিকাল পযন্ত যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টের বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে পাট, আউশ ধান, বোরো ধান, ভুট্টা, তীল, সবজি খেত, বীজতলা ও গোচারণ ভূমিসহ ২ হাজার হেক্টর ফসলী জমি। বীজতলা ফসলি জমি ২ হাজার হেক্টর যাহাতে আমন বীজ তলা ৪৫, আউশ ৭০, পাট ১৬৫০, শাক সবজি ৯০, তীল ২৫, ভূট্টা ৪০, আখ ১০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তএসব এলাকার জন্য সরকারি সহায়তা হিসেবে ৫ টন চাল ও নগদ ৩৯ হাজার টাকা এসেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
এদিকে বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। তাদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি, জ্বালানি ও খাবারের সংকট দেখা দিচ্ছে। বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার বাঁধে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নিবার্হী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু সাঈদ বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে । তবে খুব শীগ্রই পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি ভারতে বন্যা হয় তবে বাংলাদেশে বন্যার ভয়ংকর আকার ধারন করবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্ল­াহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় উপজেলায় ২ হাজার হেক্টর বীজতলা ফসলি জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি এভাবে বৃদ্ধি পেলে আরো বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।