সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৎমা কর্তৃক শিশুকন্যাকে গলাটিপে হত্যার চারদিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের নিজবাড়িতে সমাহিত কনা আক্তারের (৪) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হয়।
এসময় আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাছুদুর রহমানসহ সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মো. ফজলুল করীম উপস্থিত ছিলেন। লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জুন) রাত ৮টার দিকে মাজালিয়া (ভূঁইয়াপাড়া) গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কনা আক্তারকে তার সৎমা রিনা আক্তার (২৬) টিউবয়েলপাড়ে ডেকে নিয়ে গলাটিপে হত্যা করে। পরে লাশ ঘরের পাশে ডোবায় ফেলে পানিতে ডুবে অপমৃত্যু বলে প্রচার করে। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় সৎমাকে ঘিরে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সৎমাকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম জানান, আবুল কালামের দ্বিতীয় স্ত্রী রিনা আক্তারের গর্ভে সন্তান না থাকায় প্রথম স্ত্রীর মেয়ে কনা আক্তারকে সহ্য করতো পারতো না। তাই সৎমা শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে পানিতে ডুবে অপমৃত্যু বলে প্রচার করে। শিশুর বাবা তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত সৎমাকে আটক করে শনিবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে রোববার কবর থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।