• বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
নকলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ২নং নকলা ইউনিয়নবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা নকলা উপজেলা বাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা নকলা উপজেলা বাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন প্রথিতযশা সাংবাদিক কবি কলামিস্ট তালাত মাহমুদ নকলায় শীতার্তদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কম্বল বিতরণ নকলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ ৩ নং উরফা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ৬ নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতবিনিময় সভা

করোনাভাইরাস সতর্কতায় আইপিএল বাতিল না করে স্থগিত করার পেছনে রয়েছে আর্থিক কারণ

জেএম নিউজ ডেক্স :

করোনাভাইরাস সতর্কতায় ১৭দিন পেছানো হয়েছে আইপিএল। এ সময়ের মধ্যে ভারতে করোনার সংক্রমণ কমবে কি না, সে প্রশ্ন আছে। এরপরও টুর্নামেন্টটি বাতিল না করে মাত্র কিছুদিন পিছিয়েছে বিসিসিআই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ মনে করছে, আর্থিক কারণেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বোর্ড। আইপিএল বাতিল করলে বিসিসিআই, সম্প্রচারক সংস্থা ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সব মিলিয়ে ৩০০০ কোটি রুপি লোকসান হতো বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ সংবাদমাধ্যম।

করোনাভাইরাস সতর্কতায় ১৭দিন পেছানো হয়েছে আইপিএল। এ সময়ের মধ্যে ভারতে করোনার সংক্রমণ কমবে কি না, সে প্রশ্ন আছে। এরপরও টুর্নামেন্টটি বাতিল না করে মাত্র কিছুদিন পিছিয়েছে বিসিসিআই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ মনে করছে, আর্থিক কারণেই সিদ্ধান্তটি নিয়েছে বোর্ড। আইপিএল বাতিল করলে বিসিসিআই, সম্প্রচারক সংস্থা ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সব মিলিয়ে ৩০০০ কোটি রুপি লোকসান হতো বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ সংবাদমাধ্যম।

ফ্র্যাঞ্চাইজির এক কর্মকর্তা জানান, একেবারে না খেলা কিংবা বিদেশিদের ছাড়াই খেলার চেয়ে দর্শকহীন মাঠেও খেলতে রাজি ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো। কিন্তু বিদেশিরা না খেললে ‘আইপিএল ব্র্যান্ডের উজ্জ্বলতায় ভাটা পড়ত’ বলে মন্তব্য করেন ওই কর্মকর্তা।এবার আইপিএল শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৯ মার্চ থেকে। করোনাভাইরাসের কারণে তা পিছিয়ে ১৫ এপ্রিলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে ৮টি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ মুম্বাইয়ে বৈঠকে বসেছে বিসিসিআই।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে বৈশ্বিক ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে পড়েছে। ইউরোপের শীর্ষ ফুটবল লিগ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজগুলো স্থগিত করা হয়েছে। আইপিএল কেন বন্ধ কিংবা স্থগিত করা হচ্ছে না তা নিয়ে এত দিন প্রশ্ন উঠেছে। বিসিসিআই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে নেওয়ার পর মুখ খুলেছেন গত মৌসুমে প্লে অফে খেলা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের এক অফিশিয়াল, ‘আইপিএল বাতিল হলে এর সঙ্গে জড়িত সবার সব মিলিয়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি রুপি লোকসান হতো।’ অন্য এক দলের নির্বাহী বলেছেন, ‘বিসিসিআই, সম্প্রচারক সংস্থা ও কেন্দ্রীয় রাজস্বের ভাগ হিসেবে ১০০ কোটি রুপি করে পেত না প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।’

আইপিএল বাতিল হলে বিসিসিআইও প্রায় ২ হাজার কোটি রুপি রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতো। সম্প্রচার সংস্থা স্টারের কাছ থেকে আইপিএল বাবদ বছরে ৩ হাজার কোটি রুপি পেয়ে থাকে বিসিসিআই। এ অঙ্ক সমান ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর সঙ্গে।

আইপিএলের টাইটেল স্পনসর ভিভোর কাছ থেকে বছরে ৫০০ কোটি রুপি পায় বিসিসিআই। স্পনসর থেকেও প্রায় ৩৫ থেকে ৭৫ কোটি রুপির মতো ক্ষতি হতো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর। অঙ্কটা নির্ভর করছে কোন দল কতগুলো স্পনসর পেল তার ওপর। আইপিএল বাতিল হলে এ অর্থ পেত না তারা। এ ছাড়াও আছে টিকিট বিক্রির অর্থ। কোন শহরে খেলা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে টিকিট বিক্রি কম-বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে আইপিএল না হলে এ খাতে লোকসান হতো ২০ থেকে ৪৫ কোটি রুপি।

আনুষঙ্গিক আরও খাত আছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৬০০ কর্মজীবী। কেউ ফ্রিল্যান্সার, কেউ আবার বেতনভুক্ত। আইপিএল না হলে তাদের চাকরিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ত বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোয় সব মিলিয়ে ছয় শ-র মতো কর্মী আছে। কেউ ফ্রিল্যান্সার, কেউ বেতনভুক্ত। কোনো রাজস্ব না এলে তাদের চাকরিতে এর প্রভাব পড়ত। অঙ্কটা প্রায় ১০ কোটি রুপির মতো।’

সূত্র : প্রথম আলো

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।