নকলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার অপরাধে বিএনপি’র ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের নকলায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা ও চেষ্ঠা করার অপরাধে বিএনপি’র ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে নকলা থানার পুলিশ।
জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারী (সোমবার) ভোর ৩:২৫ মিনিটের সময় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনা ও চেষ্ঠা করার বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নকলা-চন্দ্রকোনা পাকা সড়কের পাশে পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির রায়হান মুক্তির রড-সিমেন্টের দোকানের পিছন থেকে ভোর ৩:৫০ মিনিটের সময় বিএনপির ৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় সঙ্গবদ্ধ অন্যান্যরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে করতে দৌঁড়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌরসভার বাজারদী এলাকার মৃত আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলামের ছেলে পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির রায়হান মুক্তি (৫২), ডাকাতিয়াকান্দা (উত্তর নকলা) এলাকার মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিন রেফাজের ছেলে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোরাদুজ্জামান মাসুম (৪৫), গৌড়দ্বার ইউনিয়নের গৌড়দ্বার এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে গৌড়দ্বার ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামরুল মেম্বার (৩৫), পৌরসভার গড়েরগাঁও এলাকার নওশের আলীর ছেলে পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক লূৎফর রহমান (৩৮), পৌরসভার গড়েরগাঁও এলাকার মজুমদ্দিনের ছেলে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন (৪৮), পৌরসভার বাজারদী এলাকার মৃত নবী হোসেনের ছেলে পৌর শহর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আরফান তালুকদার (৪৫) ও বাজারদী এলাকার মৃত সোবহানের ছেলে পৌর বিএনপির নেতা তাজুল ইসলাম মুক্তার (৫০)।
সোমবার নকলা থানায় কর্মরত এসআই সাদ্দাম হোসেনের এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে নকলা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এই মামলায় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকগন অভিযুক্ত হয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, ১৯০৮ সনের বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন (সংশোধনী/০২) এর ৪/৫/৬ তৎসহ পেনাল কোড আইন ১৮৬০ এর ১৪৩/৩৩২/৩৫৩/৩৪ ধারায় অপরাধ করায় বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া বাকী অজ্ঞাত অপরাধীদের চিহিৃত করে নাম ঠিকানা সংগ্রহ, আলামত উদ্ধার ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা চলছে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ জানান, নকলা-চন্দ্রকোনা পাকা সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের উপর হামলা করার উদ্দেশ্যে তথা নকলার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে নকলা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরিকল্পনা ও চেষ্ঠা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিক বিএনপির ৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক বাকি অপরাধীদের চিহৃত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান। ওসি আরো জানান, শান্ত নকলাকে কোন অপশক্তিই অশান্ত করতে পারবে না। দেশ ও জনস্বার্থে যেকোন অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ দিন-রাত সদা সর্বোচ্চ তৎপরতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন বলেও তিনি জানান।