• সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন |
  • English Version
ব্রেকিং নিউজ :
শেরপুরে নকলায় শারদীয় দুর্গোৎসব ও দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা নকলার ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিনকে প্রেসক্লাব কর্তৃক বিদায় সংবর্ধনা শেরপুরে নকলায় কৃষি মেলার উদ্বোধন শেরপুরে নকলায় নিজ দোকানে ব্যবসায়ী খুন নকলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ২নং নকলা ইউনিয়নবাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা নকলা উপজেলা বাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা নকলা উপজেলা বাসীকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন প্রথিতযশা সাংবাদিক কবি কলামিস্ট তালাত মাহমুদ নকলায় শীতার্তদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কম্বল বিতরণ

মেলান্দহে বখাটের তান্ডব

মেলান্দহ (জামালপুর) সংবাদদাতা ॥ জামালপুরের মেলান্দহে বখাটেদের তান্ডবে অতিষ্ট হয়েছে এলাকাবাসি। ঘটনাটি ঘটেছে আদ্রা ইউনিয়নের বালুআটা গ্রামে। এ ঘটনায় আহত মির্জা সোলায়মান (৬৫) বাদি হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই দুষ্কৃতিকারিরা গা-ঢাকা দিয়েছে।
জানা গেছে, বালুআটা গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়ার ছেলে সিফাত (২২), আরাফাত (১৭), স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) ৬ মে বিকেলে সিফাত ও আরাফাত দুই ভাইয়ের মধ্যে হট্রগোল চলছিল। প্রতিবেশি তাহমিনা আক্তার খুকুমনি (৩৫) তাদের বাড়িতে যায়। এতে সিফাতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম (৩৪) পুর্ব পরিকল্পিতভাবে খুকুমনিকে বিতর্কে জড়িয়ে গালাগালি করে গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। খুকু মনি তাঁর ভাই কৃষক মির্জা সোলায়মানের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে মঞ্জুয়ারা এবং তার দুই ছেলে সিফাত-আরাফাত খুকুমনিকে সেখানেই মারধর করে। মঞ্জুয়ারা খুকুমনির হাতের আঙ্গুলে কামড় দেয়। এ সুযোগে সিফাত-আরাফাত খুকুমনিকেকে বিবস্ত্র করার চেষ্টায় পরণের উড়নাসহ গলার চেইন কেড়ে নেয়। খুকুমনির ডাক-চিকৎকারে অন্যান্য প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে খুকুমনির ভাই সোলায়মান বাড়িতে আসেন। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিফাত-আরাফাত এবং মা মঞ্জুয়ারা চাপাতি-শাবল নিয়ে সোলায়মানকে ধাওয়া করে এবং সোলায়মানের মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সোলায়মানের স্ত্রী হাসনা বেগম (৪৫) এগিয়ে এলে তাকেও ডান হাতের কব্জির উপরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরে গ্রামবাসি এগিয়ে আসার আগেই তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওদিকে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আরাফাতের বোন বিউটি আক্তারকে উল্টো মারধরের অভিযোগ আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং খুকুমনি পরিবারের অভিযোগ, আরাফাতের বোন বিউটি আক্তাকে কৃত্রিম জখমি দেখিয়ে দালালদের মাধ্যমে জামালপুর হাসপাতালের ভর্তি করেছে। ঘটনার চ্যালেঞ্জ করার মতো।
ওদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিলিপ চন্দ্র কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান-হট্রগোলের সময় ব্যবহৃত চাপাতি-শাবল-রক্তমাখা কাপড় চোপড় জব্দ করা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে আরাফাতদের বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এ সময় কথা হয় আরাফাতের সহোদর চাচা রইচ উদ্দিন লিচুর (৫৩) সাথে। তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন-এদের অত্যাচার এবং আচরণে অতিষ্ট। আমারও ঘরবাড়ি জবর দখলে নিয়েছে। আমি এবং আমার প্রতিবন্ধী বোনকেও তাড়িয়ে দিয়েছে। এলাকাবাসি কিছু বল্লেই হামলা চালায়। এদের খুঁটির জোর কোথায়? জানতে চাইলে লিচু জানান-উজানে তাদের স্টীল পার্টির আত্মীয় আছে।#


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।